রাজনীতি
আরও
সময়সূচি নিয়ে কোন নির্দেশনা পায়নি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন করার সিদ্ধান্ত হলেও, স্কুলের সময়সূচি কি হবে সে বিষয়ে এখনও কোন নির্দেশনা আসেনি। সেই সঙ্গে করোনাকালে শিক্ষার ঘাটতি পূরণে বাকি পাঁচ দিন ক্লাসের রুটিন সমন্বয় করতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠান প্রধানরা। আর, শিক্ষামন্ত্রী এটিকে সাময়িক সিদ্ধান্ত বলেছেন। জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়সহ খরচ কমানোর অংশ হিসেবে ছুটির দিন শুক্রবারের সাথে যুক্ত হলো শনিবার। এখন থেকে সপ্তাহে দুই দিন বন্ধ থাকবে সব সরকারি বিদ্যালয়। তবে, বেসরকারি পর্যায়ে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই আগে থেকেই শুক্র-শনি কিংবা বৃহষ্পতি-শুক্রবার ছুটির দিন চালু আছে। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন করা হলেও আপাতত বিদ্যালয়ের সময়সূচি পরিবর্তন হচ্ছে না। আর তাই, অফিসের পরিবর্তিত সময় সকাল ৮টা থেকে ৩টা করায় এবার স্কুল সময়ের সাথে মিলে যাচ্ছে অফিসের সময়। আর এই বিষয়টিই ভাবিয়ে তুলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অভিভাবকদের। তার মনে করছেন, নতুন অফিসসূচির কারণে রাজধানীতে যানজট ভয়াবহ আকার ধারন করতে পারে। সড়কে যানজট ছাড়াও আরও সংকটে আছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। করোনাকালের শিক্ষা ঘাটতি মেটাতে প্রায় ৪৭টি বাড়তি ক্লাস নিতে বলেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড। সাপ্তাহিক ছুটি বাড়ার ফলে এসব বাড়তি ক্লাস সমন্বয়ে এখন গলদঘর্ম হতে হবে বলেই মনে করছেন উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ জহুরা বেগম। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, বৃহষ্পতিবার অর্ধদিবস ক্লাস হবে না। আর শিক্ষামন্ত্রী একাত্তর টেলিভিশনকে জানিয়েছেন, এটা সাময়িক সিদ্ধান্ত। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ জানিয়েছেন, এনসিটিবির সাথে বসে দ্রুতই বসে সব সিদ্ধান্ত জানানো হবে। এদিকে মঙ্গলবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এক আদেশে জানিয়েছে, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে। তবে, বৃহস্পতিবার অর্ধদিবস ক্লাসের পরিবর্তে পূর্ণদিবস ক্লাস হবে। বাদ বাকি দিনগুলোতে স্কুলের সময়সূচি একই থাকবে।
আরও পড়ুন:নতুন সূচিতে অফিস শুরু, রাস্তায় বাস কমের অভিযোগ
আন্দোলনরত চা বাগানের চা শ্রমিকরা জানান, প্রধানমন্ত্রীর কথা বলে তাদের সাথে ধোকা দেওয়া হচ্ছে। তারা এ সিদ্ধান্ত মানেন না। নেতাদের কথা আমরা বিশ্বাস করি না। আমরা চাই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নিজে আমাদের মজুরি ঠিক করে ঘোষনা দিলে, আমরা আজই কাজে যোগ দেবো। তাই প্রধানমন্ত্রী না বলা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন থেকে ফিরব না। সম্প্রতি মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে চা-শ্রমিকরা ধর্মঘট শুরু করলে চা বাগান মালিক বা সরকারের পক্ষ থেকে মাত্র ২৫ টাকা মজুরি বাড়ানোর যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, একটি অংশ তা মানলেও শ্রমিকদের আরেকটি অংশ ক্ষোভে আর অভিমানে তা মানতে রাজি হননি। তারা বলেছেন ১৪৫ টাকা মজুরির প্রস্তাবে রাজি হওয়ার বদলে তারা পুরোনো মজুরিতেই কাজ করবেন। এদিকে চা শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধির বিষয়ে প্রথম দফা ঢাকায় বাংলাদেশ শ্রম অধিদপ্তর কার্যালয়ে সমঝোতা বৈঠক, পরে শ্রীমঙ্গল শ্রম দপ্তরে এবং সর্বশেষ ২১ আগস্ট মধ্যরাতে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা বৈঠক হয়। বৈঠকে ৮ জন শ্রমিক নেতা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে কাজে যোগদানের বিষয়ে একমত হন। তারা প্রশাসনের সাথে যৌথ স্বাক্ষর করে ধর্মঘট প্রত্যাহার করেন। কিন্তু নেতারা সাধারণ শ্রমিকের তোপের মুখে তা আবারও প্রত্যাখান করেন। উল্লেখ্য গত ৯ আগষ্ট থেকে ৩০০ টাকা মজুরীর দাবীতে ২ ঘন্টা করে ধর্মঘটে নামেন চা শ্রমিকরা।পরবতীতে ১৩ আগষ্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পূর্ণদিবস কর্মবিরতিসহ মানববন্ধন, সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল ও মহাসড়ক অবরোধ করে ধর্মঘট পালন করে আসছেন।
একাত্তর/আরবিএস
মন্তব্য
এই নিবন্ধটি জন্য কোন মন্তব্য নেই.